সড়ক দুর্ঘটনার মহামারীতে বাংলাদেশ
সড়ক দুর্ঘটনার মহামারীতে বাংলাদেশ
সড়ক দূর্ঘটনাই যেন হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের মহামারী। সাম্প্রতিক ২০১৫ থেকে ২০২০ সালেই এই চিত্র ফুটে উঠেছে ভয়াবহ রুপে।বেপরোয়া গতি,অদক্ষ ড্রাইভার,ফিটনেস বিহীন গাড়ী,ট্র্যাফিক ব্যাবস্থাপনাই অদক্ষতা এবং প্রয়োজনীয় সচেতনতার অভাব সড়ক দূর্ঘটনার প্রধান কারন।এই চিত্রটি আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে বাঙ্গালিরা কতটা সচেতন প্রিয় কতটা উদ্ধত কতটা উন্নত যুগের।
সড়ক দুঘটনায় বাংলাদেশ
মহামারী ২০১৫ সাল
মোট দুর্ঘটনা = ৬৫৮১ জন
আহত হয়েছে=২১৮৮৫ জন
নিহত হয়েছে=৮৬৪২ জন
যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারা দেশে সংঘটিত ৩৪ শতাংশ দুর্ঘটনার সঙ্গে মোটরসাইকেল সংশ্লিষ্ট ছিল। ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ। বাসের দুর্ঘটনা ২৫ শতাংশ। কার, মাইক্রোবাস ১৫ শতাংশ।
বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন ২০১৫-এ এই তথ্য তুলে ধরেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
মহামারী ২০১৬ সালের প্রতিবেদন
মোট দুর্ঘটনা = ৪৩১২ টি
আহত হয়েছে=১৫৯১৪ জন
নিহত হয়েছে=৬০৫৫ জন
প্রতিদিনে মৃত্যু=১৬ জনের
‘বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন ২০১৬’-তে এ তথ্য উঠে এসেছে
মহামারী ২০১৭ সালের প্রতিবেদন
মোট দুর্ঘটনা = ৪৯৭৯ টি
আহত হয়েছে=১৬১৯৩ জন
নিহত হয়েছে=৭৩৯৭জন
এর মধ্যে হাত-পা বা অন্য কোনো অঙ্গ হারিয়ে পঙ্গু হয়েছেন ১ হাজার ৭২২ জন। দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জিডিপির প্রায় দেড় থেকে দুই শতাংশ।
মহামারী ২০১৮ সালের প্রতিবেদন
মোট দুর্ঘটনা = ৫৫১৪ টি
আহত হয়েছে=১৫৪৬৬ জন
নিহত হয়েছে=৭২২১জন
তথ্যসুত্র ঃ বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির ২০১৮ সালের হিসাব।
মহামারী ২০১৯ সালের প্রতিবেদন
মোট দুর্ঘটনা = ৪৭০২ টি
আহত হয়েছে=৬৯৫৩ জন
নিহত হয়েছে=৫২২৭জন
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সংগঠনের করা ‘২০১৯ সালের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যানে’ এসব তথ্য উঠে এসেছে।নিসচার প্রতিবেদনে এসেছে, ২০১৯ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৯ জন বাসচালক ও সহকারী এবং ৭২ জন ট্রাকচালক ও সহকারী মারা গেছেন। এ ছাড়া ২ হাজার ৬৬১ জন পথচারী মারা গেছেন, যা মোট দুর্ঘটনার ৫০ দশমিক ৪ শতাংশ।
মহামারী ২০২০ সালের প্রতিবেদন
মোট দুর্ঘটনা = ৪৮৯১ টি
আহত হয়েছে=৮৬০০ জন
নিহত হয়েছে=৬৬৮৬জন
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি ২০২১এ এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। তারা জানায়, বিদায়ী বছরে সড়ক, রেল ও নৌ পথে পাঁচ হাজার ৩৯৭টি দুর্ঘটনায় সাত হাজার ৩১৭ জন নিহত ও নয় হাজার ২১ জন আহত হয়েছেন।গত বছর ২০২০ এ সড়ক পথে চার হাজার ৮৯১টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। একই সময় রেলপথে ৩২৩টি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৩১৮ জন, আহত হয়েছেন ৭৯ জন। ১৮৩টি নৌ দুর্ঘটনায় ৩১৩ জন নিহত, ৩৪২ জন আহত এবং ৩৭১ জন নিখোঁজ হয়েছেন।
(এআরআই) দুর্ঘটনার কারণ-সংক্রান্ত পুলিশের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে থাকে। ১৯৯৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সড়ক দুর্ঘটনার বিশ্লেষণ করে এআরআই বলছে, চালকদের বেপরোয়া মনোভাবচালকের বেপরোয়া মনোভাব ও গতির কারণে ৯০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে। আর পরিবেশ-পরিস্থিতিসহ অন্যান্য কারণে দুর্ঘটনার পরিমাণ ১০ শতাংশ।
এরকম দূর্ঘটনা হাজারো পরিবারের অসহনীয় কষ্ট ও যন্ত্রণার কোনো পরিবারই আজীবন পঙ্গুত্ব বহন করেত চাই না কিন্তু আমাদের মতই কিছু ছদ্দবেশী অসচেতন মানুষ রুপি অমানুষের জন্য হাজার হাজার পরিবার একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটির নির্মম পরিণতি।
বাস্তবতা অনুধাবন করে দেখি নির্মমতার হার কোথায় বেশি।প্রশ্ন বিবেকের কাছে বাংলাদেশের জন্য মহামারী কোনটা ?
বাংলাদেশে মার্চ মাসের ৮ তারিখ প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয় অর্থাৎ ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২১সালের ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭৯৮১ জন। বাংলাদেশের মানুষের জন্য সচেতনতা আইনে পরিনত করা শুধু সময়ের দাবি।
may be considered.
ReplyDeleteworldtechnologyupdates
ReplyDeleteworldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates
worldtechnologyupdates