Header Ads

Header ADS

নারীর ক্ষমতায়ন

 

নারীর ক্ষমতায়ন

বলি নারীরা কখুনো দেশের প্রতিনিধিত্ত করার যোগ্য না, সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় যোগ্য না,নারীর ক্ষমতায়ন উন্নয়ন ও সুখি পরিবারের অন্তরায়। 




আল্লাহ তায়ালা মানুষ সৃষ্টির সময় বলে দিলেন, ‘তোমরা সবাই খলিফা( ‘ইন্নি জায়িলুন ফিল আরদি খলিফা’ )


 তিনি বলেননি শুধু পুরুষই খলিফা অথবা শুধু নারীই খলিফা। খলিফা মানে প্রতিনিধি, নারী-পুরুষ প্রত্যেক প্রত্যেকের প্রতিনিধি,আর মানুষ আল্লাহর প্রতিনিধি। এই খলিফার মর্যাদার মধ্যই রয়েছে সব ক্ষমতায়ন যেখানে নারী-পুরুষের ক্ষ্মতায়নের কথা বলা হয়েছে কখুনো বলা হয়নি শুধু পুরুষরাই খলিফা বা প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে। বিশৃঙ্খল সমাজ ব্যবস্থা সৃষ্টির প্রধান দায় ক্ষমতায়নের সমতা না থাকার।ইসলাম চায় প্রত্যেককে ক্ষমতা দিতে। কিন্তু এ মুহূর্তে যদি নারীরা বঞ্চিত থেকে যায়, তবে তাদের ক্ষমতায়িত করতে হবে। পুরুষরা কোনো দিন বঞ্চিত হলে তাদের ক্ষমতায়িত করতে হবে। তবে যে বঞ্চিত, তার কথা আমাদের আগে ভাবতে হবে। তবে প্রশ্ন হলো আজকে নারীদের আসল কাজ কি ? নারীরা কি আসলেই চার দেওয়ালে আবদ্ধ থাকবে নাকি ক্ষমতায়নের বিশ্বে নিজের অধিকারটুকু বুঝে নিতে পারবে।


আল্লাহতায়ালা এখানেও মানুষের দায়িক্ত কর্তব্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন-সূরা তাওবার ৭১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন- ‘নারী-পুরুষের দায়িত্ব ছয়টি :

১. তারা ভালো কাজের আদেশ দেবে। ২. মন্দ কাজের ব্যাপারে নিষেধ করবে। ৩. উভয়ে নামাজ কায়েম করবে। ৪. জাকাত দেবে। ৫. আল্লাহকে মানবে। ৬. রাসূল সা:কে মানবে। 


কিভাবে সম্ভব একজন মানুষ চারদেওয়ালে আবদ্ধ রেখে ভালো কাজের আদেশ দেওয়া,প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়া,নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়া,দেশে সামাজিক অর্থনেতিক ভূমিকা রাখা।যখুন নিজেকে আবদ্ধ রেখে জ্ঞ্যান অর্জন না করে  দেশের জন্য দশের জন্য ভালো কিছু করা -কারোর পক্ষেই সম্ভব?

নারী পুরুষের অধিকার বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন,

“পুরুষ যা অর্জন করে সেটা তার প্রাপ্য অংশ এবং নারী যা অর্জন করে সেটা তার প্রাপ্য অংশ।” (আন-নিসা ৪:৩২)

এ কথার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা নারীদের সব ভালো কাজে অংশগ্রহনের কথা বলেছেন-নারী-পুরুষ সাম্যর কথা বলেছেন।




খাদিজা রা আমদানি রপ্তানির ওয়ার্ল্ড ট্রেডার ছিলেন ৷ আরবের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধণাট্য ব্যবসায়ী রমণী ছিলেন তিনি৷ রাসুলের যুদ্ধযাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ সময়ের পুরোটা জুড়ে তাঁর স্ত্রীরা সাথেই থাকতেন৷ প্রয়োজনীয় কৌশলগত পরামর্শ দিতেন৷


বিখ্যাত হানাফি ইমাম নুমান বিন সাবিত তদীয় কন্যা হানিফার জ্ঞানগর্ভ ফিকহি সমাধানের স্বীকৃতিস্বরূপ আবু হানিফা (কন্যা হানিফার পিতা )পরিচয়ে জনপ্রিয় হন।নারীদের শিক্ষিকা, ব্যবসায়ী প্রভৃতি পেশাবৃত্তি গ্রহণে ইসলামের ভেতরেই অসংখ্য নজির রয়েছে ৷


পার্থক্যটা শুধু আমাদের মানসিকতায় যেখানে আমরা মনে করি ইসলাম কখুনো মেয়েদের ব্যাবসা বানিজ্য,শিক্ষা,যুদ্ধ,কিংবা দেশের অনান্য ক্ষত্রে অবদানকে রাখার অধিকার দেয়না।আমাদের ভাবনা ইসলাম নারীদেরকে আবদ্ধ করে রাখে গোলামি করতে বাধ্য করে, নারীদের কে ভোগের বস্তূ মনে করে-আধুনিক সমাজ ভেবে নেয় নারী মানেই পুরুষের গোলামি করবে-শোষণের স্বীকার হবে শুধু সাংসারিক দায়িক্ত পালন করবে। 

ইসলাম শুধু বলছে সঠিক কাজের কথা,কোনো নারী যদি তার অর্জিত দক্ষতা প্রমান করতে চাই তাহলে তাকে উপযুক্ত নিরাপদ পরিবেশ দিতে বলেছে,ইসলাম নারীর জন্য পর্দা নির্ধারন করে দিয়েছে ঠিকই কিন্তু নারীকে আবদ্ধ করে দেয়নি।অর্জিত ঞ্জ্যান কাজে লাগানোর অধিকার -শাসন ব্যাবস্থায় সম অধিকার ও নারীর ক্ষ্মতায়ন ইসলামে  স্বীকৃত। 

 

কিন্তু কিছু পশ্চিমা সংস্কৃতির ধারক যারা নারীদেরকে আগেও ভোগের বস্ত করেছে অত্যাচার করেছে নিষ্পেষিত করেছে।বর্তমানে তারাই আবারো নারীদেরকে উদ্ধারের নামে বাণিজ্য হিসেবে ব্যবহার করছে। 

“আমি বিনষ্ট করি না তোমাদের কোন পরিশ্রমকারীর কর্ম, তা সে হোক পুরুষ কিংবা নারী। তোমরা একে অন্যের সমান।” (আল-ইমরান ৩:১৯৫)



[url=][/url]reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly reviewvaly

2 comments:

Powered by Blogger.